এনামুল হক কাশেমী, বান্দরবান ::
বান্দরবানের থানচিতে সুউচ্চ পাহাড়ের বুকচিরে প্রবাহমান নদীর নাম সাঙ্গু। এ নদীর নানাস্তরে রয়েছে অসংখ্য সারিসারি প্রাকৃতিক পাথর। এসব পাথরের মধ্যেই সবচে বড় এবং দৃষ্টিনন্দিত পাথরের নাম হচ্ছে ‘রাজাপাথর’। আস্তপাথরটি নদীর পানির মাঝখানেই দিব্যি দণ্ডায়মান সেকাল থেকেই।
জেলা সদর থেকে থানচি উপজেলা সদরের দূরত্ব ৮০কিলোমিটার। মাত্র তিন ঘন্টায় সড়কপথে যেকোন গাড়িতে যাওয়া যায় থানচি উপজেলা সদরে জেলা শহর থেকে। থানচি উপজেলা সদর থেকে নৌকা বা বোটে সাঙ্গু নদীপথে উজানের দিকে ২৫কি.মি পথ পাড়ি দিলেই (তিন্দু ইউনিয়ন এলাকাভুক্ত) দেখা যাবে রাজাপাথরসহ পুরোনদী জুড়েই বিস্তৃত বিশাল বিশাল প্রাকৃতিক পাথরের অবস্থান। সুউচ্চ পাহাড়চিরেই সাঙ্গু নদী বয়ে গেছে। তার ওপর প্রায় ২০কি.মি নদীপথই হচ্ছে আস্ত পাহাড়ঘেরা। শুষ্ক মৌসুমে তো কোন মতে পানি ডিঙ্গিয়ে পাথরের পাশঘেঁষেই ছোট ছোট নৌকা চলাচলের সুযোগ আছে, কিন্তু বর্ষায় উজানের পানিভরা এই পাথরের ওপর দিয়ে কিংবা পাথরঘেঁষে যাত্রীবাহী নৌকা চলাচল মোটেই নিরাপদ নয়। জীবনের অতিঝুঁকিতে এই পাথরবেষ্টিত নদীপথে যাতায়াত করতে গিয়ে প্রতিবছরই একাধিক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতও আহত হন স্থানীয়সহ বেশকিছু মানুষ। গত বর্ষায় নিরাপত্তা বাহিনীর টহল দলের একটি নৌকা পানিতে উল্টে গিয়ে কয়েকটি অস্ত্র খোয়া গিয়েছিল। সৈনিকও নিহত হন একজন। পর্যটকদের জন্যে থানচি সদর থেকে বড়মদক পর্যন্ত প্রায় ৭০কি.মি পানিপথ ভ্রমনের জন্যে উন্মুক্ত থাকলেও নদীপথে থাকা বড় বড় প্রাকৃতিক পাথরসমূহ সরিয়ে নিরাপদ জায়গায় বসানোর কোন উদ্যোগ এযাবত কোন মহলই গ্রহণ করেনি। প্রশাসন কিংবা সরকারি মহলের এ বিষয়ে নেই কোন পরিকল্পনা বা সিদ্ধান্ত।
জেলার পর্যটন ব্যবসার সাথে জড়িত অধ্যাপক মো.ওসমান গণি, সিরাজুল ইসলাম এবং শাহাদাত হোসেন বলেন, সারাদেশ থেকে বান্দরবানে ভ্রমনে আসা বেশির ভাগ পর্যটকই জেলার দুর্গম এলাকার আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট বা পর্যটন কেন্দ্রসমূহ একনজর দেখতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। কিন্তু পাহাড়ের দৃশ্যসহ বৃক্ষরাজি অবলোকন করার পরও তারা সুদূর থানচি উপজেলার প্রাকৃত পাথর এবং গিরিঝর্ণার পানির প্রবাহ দর্শনে মরিয়া হয়ে পড়েন। পরিবেশ ও পাথর বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠনপূর্বক নদীর নানাস্থানে থাকা আস্তপাথরসমূহে নিরাপদ স্থানে সরানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা গেলে এসব এলাকায় পর্যটকদের ভ্রমনের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পারে। এতে স্থানীয় পাহাড়ি পরিবারগুলো তাদের হ্যান্ডি ক্রাফটও বেশি বিকিকিনি করার সযোগ পাবেন। ফলে দুর্গম এলাকার শত শত পাহাড়ি পরিবারে আর্থিক সচ্ছলতাও বৃদ্ধি পাবে বলে এলাকার জনপ্রতিনিধিরা বলছেন।
উপজেলা প্রশাসন এবং জেলা প্রশাসনরে কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিবছর বর্ষায় ওই এলাকায় উজানের পানির বৃদ্ধির ফলে ৩মাস পর্যন্ত ভ্রমন নিরাপত্তাজনিত কারণে পর্যটকদের যাতায়াত বন্ধ রাখা হয়। নদীর বুকে প্রাকৃতিকভাবে সৃজিত আস্তপাথরসমূহ সরানো কঠিন বিষয়, তাই নিজেদের নিরাপত্তা ও সতর্কতার সাথে যাত্রীদের নৌকায় চলাচল করতে হয়। যুগযুগ ধরেই এ অবস্থা চলমান রয়েছে। তবে আগামীতে পানি পাথর বিশেষজ্ঞদের নিয়ে থানচি থেকে বড়মদক পর্যন্ত পানিপথ সারাবছর ধরেই কি ভাবে নিরাপদ রাখা যায় সেই বিষয়ে উচ্চ মহলে যোগাযোগ রক্ষা হচ্ছে।
- চকরিয়ায় আ,লীগের প্রভাবে দখল হওয়া বাজার ফিরে পেতে চায় ব্যবসায়ীরা
- চকরিয়ার যুবলীগ নেতা কছিরের রয়েছে সম্পদের পাহাড়
- চকরিয়ায় ডাকাতের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হলেন তরুণ সেনা কর্মকর্তা তানজিন
- ফাইতং ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবীতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
- চকরিয়ায় ৪৬টি পূজা মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনের প্রস্তুতি
- চকরিয়ায় ইট বোঝাই ডাম্পার ট্রাকের চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
- চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালীতে ভন্ড বৈদ্যের আবির্ভাব
- বৈষম্য মূলক নিয়োগে ফুঁসে উঠেছে চৌদ্দ হাজার সিএইচসিপি!
- কক্সবাজারে যোগ হচ্ছে রিজিওনাল ট্রেনিং সেন্টার :
- চকরিয়ায় যাত্রীবাহি বাস চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
- আগস্টে ৪৬৭ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৭৬
- চকরিয়ায় ডাকাতের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হলেন তরুণ সেনা কর্মকর্তা তানজিন
- ফাইতং ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবীতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
- চকরিয়ার যুবলীগ নেতা কছিরের রয়েছে সম্পদের পাহাড়
- সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদে চকরিয়ায় মানববন্ধন
- চকরিয়ায় যাত্রীবাহি বাস চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
- কক্সবাজারে যোগ হচ্ছে রিজিওনাল ট্রেনিং সেন্টার :
- চকরিয়ায় ৪৬টি পূজা মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনের প্রস্তুতি
- আগস্টে ৪৬৭ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৭৬
- তামাকের ব্যবহার কমাতে শক্তিশালী কর পদক্ষেপ ও আইনের বিকল্প নেই
- চাঁদাদাবী, ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চেয়ারম্যান ইউনুছসহ ১২জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
- চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালীতে ভন্ড বৈদ্যের আবির্ভাব
পাঠকের মতামত: